ডিজিটাল মার্কেটিং এর অভিজ্ঞতা থেকেই আমি এজেন্সি বেইজ ক্লায়েন্ট মার্কেটপ্লেস এর বাহির থেকে পেয়ে থাকি। পুরোটা না পড়লে আপনার লস ।
আমরা যারা অনলাইনে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করি তারা সবাই যেকোনো একটি অথবা দুটি স্কিল ডেভেলপ করে নিজেদের মধ্যে এবং সেই স্কিল কে কাজে লাগিয়ে আমরা ক্লায়েন্টদেরকে সার্ভিস দেই।
একটা স্কিল শিখতে আমাদের মাঝে মধ্যে প্রায় 1 থেকে 2 বছর লেগে যায় তাই আমরা অন্য কোন স্কিলের দিকে নজর দিতে পারিনা।
কিন্তু যদি আপনি আপনার সার্ভিস ক্লায়েন্টদের কাছে বিক্রি করে নিজের একটি পূর্ণাঙ্গ আয়ের মাধ্যম অথবা ব্যবসা তৈরি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে মার্কেটিং কি জিনিস তা বুঝতে হবে।
যদি আপনি শুধুমাত্র ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রিল্যান্সিং প্রজেক্টগুলো করতে চান তাহলে অবশ্যই তা আপনার জন্য অনেক ভালো এবং ডিজিটাল মার্কেটিং জানা থাকলে আপনি নিজে প্রোডাক্ট বাস সার্ভিস তৈরি করে নিজেই নিজের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করতে পারবেন।
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন আমাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এ মার্কেটপ্লেস থেকে কিভাবে রেগুলার কাজ পাওয়া যায় এবং আমি যদি কাউকে জিজ্ঞাসা করি আপনি কি নিয়ে কাজ করেন তখন অনেকেই নিজের পরিচয় দিতে লজ্জা পান অথবা ঠিকমত বলতে পারেন না যে আপনি কি কাজ করেন।
একজন বিবিএ অথবা এমবিএ ডিগ্রী নিয়ে যদি একটি কোম্পানিতে মার্কেটিং এর জব করে নিজেকে মার্কেটের হিসেবে পরিচয় দিতে পারে তাহলে শুধুমাত্র ডিজিটাল কথাটা মার্কেটিং এর আগে ব্যবহৃত হলেই কেন আপনি নিজেকে মার্কেটার বলতে পারেন না?
এখন কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে যে মার্কেটের হিসেবে আপনার পজিশন কি তাহলে কি বলবেন?
আসলে এই ধরনের অনেক প্রশ্নই আছে যা একজন ডিজিটাল মার্কেটিং জানেনা এবং আমি আজকে এই আর্টিকেলে সবকিছু এটুজেট তুলে ধরার চেষ্টা করব।
তবে আগে একটা কথা বলে নি সেটা হচ্ছে কেউ ভাববেন না আমি একজন প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটার, আমি ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করি।
তাহলে প্রশ্ন জাগতে পারে কেন আমি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আর্টিকেল লিখছি? আমি কি বুঝি?
2012 এবং 13 তে আমি একজন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার ছিলাম, আমি নিজে একটি ওয়েবসাইট রেঙ্ক করিয়াছি যা এখনো রেঙ্কিংয়ের টপ পজিশনে আছে।
তারপর পরিবেশগত কারণে আমি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ছেড়ে দেই এবং ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট নিয়ে পড়ে থাকি।
আমার এজেন্সিতে ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এর সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস দেওয়া হয় যেটা দ্বারা আমি long-term ক্লায়েন্টকে ধরে রাখি।
ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিসে এসইও, ফেসবুক এড এবং গুগোল এড রয়েছে কিন্তু এর কোনোটি আমি নিজে করি না, অন্যকে দিয়ে করাই।
আমার কাজ হচ্ছে এই সকল বিষয় রিসার্চ করা এবং আমার টিম আছে তাদের দিয়ে টেস্টিং করা এবং টেস্টিং শেষ হলে আমি মার্কেটপ্লেস থেকে আরেকজনকে হায়ার করে আমার ক্লায়েন্ট এর জন্য সেই সার্ভিস দিয়ে থাকি।
ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর কাজটা আমার নিজস্ব টিম দিয়ে করা হয় কিন্তু এরপর সকল কাজ আমি একজন ব্রোকার হিসেবে করি বলতে পারেন। যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।
এজেন্সি ব্যয় যদি আপনি সার্ভিস দিয়ে থাকেন তখন আপনাকে সব কিছুর ন্যূনতম ধারণা রাখতে হবে তাহলে আপনি একজন ক্লায়েন্টকে লং টাইম ধরে রাখতে পারবেন।
আর এই কারণে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আমার ধারণা গুলো আমি এই আর্টিকেলে ব্যাখ্যা করব।
মার্কেটিং কি?
মার্কেটিং হচ্ছে আপনি কোন একটা নির্দিষ্ট প্রজাতির ক্লায়েন্টের কাছে আপনার প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস এর প্রমোশন করবেন যে প্রমোশন দেখার পর ওই নির্দিষ্ট প্রজাতির ক্লায়েন্ট অথবা আর আপনার প্রোডাক্টের প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং তাদের ইন্টারেস্ট বাড়তে থাকবে। আপনি আপনার প্রোডাক্টের প্রতি যত বেশি মানুষকে ইন্টারেস্ট বাড়াবেন আপনার মার্কেটিংয়ের দক্ষতা তত বেশী বাড়তে থাকবে আর এটাই হচ্ছে মার্কেটিং।
তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং টা কি?
যদি মার্কেটিং জিনিসটা বুঝতে পারেন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে আপনি অনলাইনে অথবা ডিজিটাল প্লাটফর্ম গুলোতে যেসকল মার্কেটিং করে থাকেন সেটাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন দরকার?
ধরেন আপনি একটি ব্যবসা শুরু করবেন চিন্তা করলেন তাই ঝটপট টাকা পয়সা জোগাড় করে একটা প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস তৈরি করলেন এবং একটি অফিস অথবা দোকান নিয়ে একটি বিজনেস সেটআপ করলেন যেখানে কিছু সংখ্যক দক্ষ শ্রমিক আপনার এম্প্লয় হিসেবে কাজ করে।
তো ভালো কথা আপনার বিজনেস শুরু হয়ে গেল কিন্তু আপনার এই বিজনেস যদি আপনি প্রচার না করেন তাহলে কি আপনার কোন প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস বিক্রি করতে পারবেন?
আপনাকে আপনার বিজনেস প্রচারের মাধ্যমে আপনার টার্গেটের কাস্টমার হবা ক্লায়েন্টের কাছে হাজির হতে হবে এবং আপনাকে প্রচার করতে হবে তখন আপনার কাস্টমার অথবা ক্লায়েন্টরা আপনার প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের প্রতি আকৃষ্ট হবে।
যদি কেউ না জানে তাহলে সে কিভাবে আকৃষ্ট হবে আর আপনি বা কিভাবে বিক্রি করবেন?
হতে পারেন আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার এবং আপনার দক্ষতা হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইনের ডিজাইন সার্ভিস অথবা ওয়েব ডিজাইনের মত কোডিং রিলেটেড কাজ।
আপনি যাই করেন না কেন এটা কিন্তু আপনার একটা ব্যবসা কারণ আপনি কোন চাকরির সাথে সঙ্ঘবদ্ধ থেকে অথবা চুক্তিবদ্ধ থেকে কাজ করছেন না, আপনি একজন ক্লায়েন্টের সাথে একটি সম্পূর্ণ প্রজেক্ট নিয়ে ডিল করছেন।
তাই আপনি যত বেশি ক্লায়েন্টদের সাথে ডিল করতে পারবেন আপনার ব্যবসার ততো বেশি উন্নতি হবে আর এর জন্য আপনাকে ততবেশি মার্কেটিং করতে হবে আপনার প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের।
তাই আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন আর ওয়েব ডিজাইনার অথবা অন্য যে কোন স্কিন নিয়ে কাজ করেন আপনার কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং শেখাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাহলে অন্তত মার্কেটপ্লেসের মধ্যে বসে না থেকে আপনি নিজে নিজেই মার্কেটপ্লেসের বাহির থেকে নিজের ক্লায়েন্ট খুঁজে বের করতে পারবেন।
মার্কেটিং ছাড়া কোন বিজনেস হচ্ছে শুকনো মরুভূমির মতো।
এখন প্রশ্ন করবেন যে ভাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন জিনিসটা শিখলে আমি বেশি বেশি ক্লায়েন্ট পাবো?
ভাই ও ভাই, এই প্রশ্নটা আমাকে কেউ ভুলেও করবেন না কারণ আমি কোন স্পেসিফিক বিষয় শিখে ক্লায়েন্ট জোগাড় করি না আমাকে মার্কেটিং এর পুরো স্ট্র্যাটেজি টা বুঝে তারপর কাজ করতে হয় তাই আপনি কোন প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস সেল করবেন সেটার জন্য আপনার নিজের মার্কেটিং স্ট্রাটেজি নিজেকে সাজাতে হবে এটার কোন চিপা বুদ্ধি নেই।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখলে কেমন ফায়দা হবে? অথবা এর সুযোগ সুবিধা গুলো কেমন একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে?
আগে বুঝতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা টা কেমন!!
2020 সালের এনালাইসিস অনুযায়ী বর্তমানে বিজনেস বিল্ডিং এর জন্য আরও 20 লাখ ডিজিটাল মার্কেট এর প্রয়োজন।
তার মানে হচ্ছে ব্যবসার পরিমাণ থেকে ডিজিটাল মার্কেটার এর পরিমাণ কম অথবা ঘাটতি রয়েছে।
এটা শুধুমাত্র ইন্ডিয়ান এনালাইসিস থেকে এসেছে।
দুনিয়াতে প্রায় 500 মিলিয়ন এর উপর উদ্যোক্তা রয়েছে এবং এই উদ্যোক্তারা নতুন নতুন বিজনেস এর আইডিয়া এবং টাইপ বের করছে।
এই সকল আইডিয়া ভিত্তি করে আরো অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তৈরি হচ্ছে যাদের অগণিত ডিজিটাল মার্কেট এর দরকার।
একটা ব্যবসায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবথেকে উপকারী ব্যাপার হচ্ছে কোম্পানির আয় উন্নতি এনালাইসিস করার মতো ক্ষমতা।
যদি আমরা অফলাইন মার্কেটিংয়ের কথা বলি তাহলে সঠিকভাবে আপনি এনালাইজ করতে পারবেন না যে আপনি কতজন ভোক্তার কাছে নিজের পণ্যের মার্কেটিং করেছেন এবং কতজন ভোক্তা আপনার পণ্যটি কিনেছেন।
কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি তা সম্পূর্ণরূপে এনালাইজ করতে পারবেন এবং আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার ব্যবসার কেমন উন্নতি হচ্ছে।
আরেকটি লোভনীয় ব্যাপার হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং অন্যান্য অফলাইন মার্কেটিং এর থেকে অনেক স্বল্পমূল্যে করা যায় যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি ঠিকমতো ভালো করে বুঝে থাকেন।
আমরা অনেকেই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ফেসবুক অথবা গুগোল এড অথবা অন্যান্য মার্কেটিং করে থাকি যেগুলো তারা আমরা একটা ওয়েবসাইট বা কোন একটা লিঙ্ক এ ট্রাফিক জেনারেট করি আর তখন আমরা নিজেকে মার্কেটের হিসেবে গণ্য করে ফেলি আর এটা হচ্ছে একটা ভুল এবং ভ্রান্ত ধারণা একজন মার্কেটের হিসেবে।
ধরেন আপনার দোকানের সারাদিন অনেক কাস্টমার আসে তাহলে কি আপনার ব্যবসার সাকসেসফুল হবে? অবশ্যই না
আপনার ব্যবসা তখনই সাকসেসফুল হবে যখন আপনি ওই কাস্টমাদের কাছে আপনার পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
একটা দোকানে হরেক রকমের ক্রেতা আসবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু আপনার পণ্য বিক্রি করার জন্য মার্কেটিং থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত সকল স্ট্র্যাটেজি ঠিক থাকতে হবে তাহলেই আপনার পণ্য সেল হবে।
ডিজিটাল মার্কেটাররা যে সকল ভুল করে থাকে!
বর্তমানে সকল ডিজিটাল মার্কেটাররা ওয়েবসাইট অথবা লিংকে ট্রাফিক জেনারেট করেই ক্ষ্যান্ত হয়ে যায় কিন্তু ক্লায়েন্ট এর এই সকল ট্রাফিক দিয়ে কি হবে?
তাদের দরকার পণ্য সেল করা যদি তারা পণ্য অথবা তাদের সার্ভিস বিক্রি করতে পারে তাহলেই তার ব্যবসায় প্রফিট আসবে এবং তখনই একজন মার্কেটারের সফলতা।
যখন ক্লায়েন্ট এর বেনিফিট হবে তখন অবশ্যই ক্লায়েন্ট ওই মার্কেটের কে ধরে রাখার চেষ্টা করবে তার ব্যবসার উন্নতির জন্য আর এটাই নিয়ম।
আগেই বলেছি একটা ব্যবসায় মার্কেটিং ছাড়া সেই ব্যবসা হচ্ছে শুকনো মরুভূমির মতো, তাই এত এত ব্যবসায় একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব কেমন সেটা হয়তো বা নিজেই বুঝতে পারছেন।
এখন বলতে পারেন ভাই অনেক ব্যবসায়ী আছে কিন্তু আমি কিভাবে বুঝাবো জেতার ডিজিটাল মার্কেটিং প্রয়োজন?
আগে ভালো করে মার্কেটিং জিনিসটা কি বুঝেন তারপর নিজেই নিজের সার্ভিসের মার্কেটিং করেন তখন দেখবেন ক্লায়েন্ট নিজেই এসে আপনার কাছ থেকে সার্ভিস নিচ্ছে।
আমাদের কি করা উচিত?
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলেন আর ফেসবুক গুগল এড বলেন এগুলো হচ্ছে ট্রাফিক জেনারেট করা, অবশ্যই একটা ওয়েবসাইটে ট্রাফিক জেনারেট না করতে পারলে কখনোই ওই পণ্য বা সার্ভিস সেল করা যাবে না।
কিন্তু আপনার মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি এমন ভাবে আপনাকে তৈরি করতে হবে যেটা দ্বারা আপনারা এই প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে যে সকল ট্রাফিক নিয়ে আসবেন সেই ট্রাফিক গুলো একজন কাস্টমারের রূপান্তরিত হবে।
কাস্টমার এর অর্থ হচ্ছে টাকার বিনিময়ে যারা পণ্য অথবা সার্ভিস কিনে নেয়।
তাই একজন ভিজিটর ওয়েবসাইট ভিজিট করে যদি ওয়েবসাইট থেকে পণ্য অথবা সার্ভিস নাকি না তাহলে সে কিন্তু কাস্টমার না।
আপনাকে মার্কেটিং স্ট্রাটেজি এবং মানুষকে আকৃষ্ট করা থেকে শুরু করে পণ্য বিক্রি করা পর্যন্ত সব ধরনের স্ট্র্যাটেজি বুঝতে হবে এবং সেই স্ট্রাটিজি গুলো ব্যবহার করে আপনার ক্লায়েন্টকে তার ব্যবসার উন্নতি দেখাতে হবে।
মারকেটিং যেহেতু হচ্ছে একটা স্পেসিফিক কাস্টমার কে আকৃষ্ট করা তাই আপনাকে আকৃষ্ট করার সকল প্ল্যানিং এবং স্ট্র্যাটেজি তৈরি করে কাজ করতে হবে।
যখন আপনি একটি পণ্য অথবা সার্ভিস সেল করার স্ট্র্যাটেজি জানেন তখন ওই পণ্য বা সার্ভিস বিজনেস উনাদের সাথে যদি কন্টাক্ট করে বলেন যে তার পণ্য অথবা সার্ভিস আপনি সহজে বিক্রি করে দিবেন তাহলে কেন সে আপনার ক্লায়েন্ট হবে না?
ডিজিটাল মার্কেটিং এ ক্লায়েন্ট পাওয়ার সবথেকে সহজ কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে একটা ক্লায়েন্টের ব্যবসার উন্নতি বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়।
একটা উদাহরণ দেই:
অ্যামাজন অথবা আলিবাবা ওয়েব সাইটে ঢোকার সাথে সাথে দেখবেন অনেক পণ্য দেখা যাচ্ছে তখন সার্চ করে আপনি একটি পণ্য বের করে দেখলেন এবং আপনার কাছে মনে হল আপনি এখন পণ্যটি কিনবেন না।
তখন এই ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলো আপনার ফেসবুকে দেখবেন একই রকম পণ্যের বারবার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। ইউএফসি গুলো খুব সহজেই বুঝতে পারে যে আপনি এখন কোন পণ্যটি কিনতে আগ্রহী তাই বারবার আপনার সামনে ফেসবুক অথবা গুগোল সেই পণ্যগুলোর বিজ্ঞাপন দিয়ে আপনার ওই পণ্য কেনার আগ্রহ বাড়িয়ে তুলে।
এটাই হচ্ছে মার্কেটিং স্ট্রাটেজি যেটা একজন বায়ারকে একটি পণ্য কেনার জন্য উদ্বুদ্ধ করে তোলে দিনের পর দিন এবং বায়ার সেই পণ্যটি কিনতে বাধ্য হয় যেটাকে আমরা সেল বলি অথবা বিক্রি।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে ডিজিটাল মার্কেটিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
এখন ধরেন আপনি একজন ডিজিটাল মার্কেটিং হলেন তাহলে আপনার পরিচয় কি?
ধরেন কেউ আপনাকে জিজ্ঞাসা করলো যে আপনি মার্কেটিংয়ে একটা কোম্পানিতে কি কাজ করেন তখন কিভাবে আপনি নিজের পরিচয় দিবেন?
একজন মার্কেটার কে যদি পরিচয় হিসেবে ডিফাইন করতে চাই তাহলে অনেক অনেক টাইটেল অথবা পজিশনে রয়েছে তাই সবগুলো আমার এখন ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয় এবং সবগুলো সম্পর্কে আমি নিজেও কতটা অবগত না।
তবে মূল বিষয়টা আমি তুলে ধরতে পারি।
যখন আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং করি একটা কোম্পানিতে অথবা একটা বিজনেস এর তখন কিছু সাজেশন আছে যেগুলো খুবই কমন।
মার্কেটিং ম্যানেজার, মার্কেটিং কনসালটেন্ট, মার্কেটিং রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইজার, কনটেন্ট মার্কেটার, মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিস্ট এবং ব্র্যান্ড প্রোমোটার।
এখন এই পজিশন গুলো বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এর মধ্যে দক্ষতা অনুযায়ী হতে পারে, মনে করেন আপনি একটি বড় সরো জিম কোম্পানির মার্কেটিং ম্যানেজার।
মার্কেটিং ম্যানেজার এর কাজ হচ্ছে মার্কেটিং এর যাবতীয় যত সকল ক্যাম্পেইন আছে সেইসকল ক্যাম্পেইন রান করা এদের রিপোর্ট তৈরি করা এবং এই সকল রিপোর্ট অনুযায়ী মার্কেটিং এর গ্রোথ বাড়ানো।
এখন এই ম্যানেজার ঠিক কোথায় তার এই কাজগুলো করবে?
যেহেতু আমি জিম ব্যাবসার কথা বলেছি তাই ফিটনেস অথবা জিম ট্রেনিং ব্যবসাগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এ সোশ্যাল মিডিয়ার উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে থাকে।
এদের ক্লায়েন্টগুলো মূলত সোসিয়াল মিডিয়া থেকে মার্কেটিং করে নিয়ে আসা হয় এবং আরেকটি হচ্ছে গুগল ম্যাপ তাই আমি গুগল ম্যাপ কে প্রাধান্য না দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াকে উদাহরণ এর জন্য বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি।
একজন জিম ট্রেনিং মার্কেটিং ম্যানেজার কে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর যথেষ্ট পরিমাণ জ্ঞান নিয়ে কাজের এক্সপিরিয়েন্স তারা সোশ্যাল মিডিয়া প্রমোশন এবং ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে ওই জিম ট্রেনিং এর ব্যবসার প্রমোশন বৃদ্ধি করতে হয়।
তাই আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং ম্যানেজমেন্ট নিয়ে তিন থেকে চার বছর কাজ করেন তখন যেকোন একটি কোম্পানিতে আপনি এই বিষয়ের উপর একটি পজিশন নিতে পারবেন।
একজন মার্কেটিং ম্যানেজার এর আন্ডারে আরো কয়েকজন মার্কেট এর কাজ করে যাদেরকে নির্দেশনা দেওয়ার মাধ্যমে একজন ম্যানেজার সবগুলো মার্কেটিংয়ের কাজ করিয়ে নেয়।
ম্যানেজারের নিচে হতে পারে মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিস্ট, মার্কেটিং এনালাইজার, ব্র্যান্ড প্রমোটর অথবা কনটেন্ট মার্কেটার।
এদের টাইটেল লিখে যদি আপনি গুগলে সার্চ করেন তাহলে এদের কাজ কি বুঝতে পারবেন তাই এখানে আমি আর এদের কাজ গুলো বর্ণনা করে আর্টিকেলটা বড় করছি না।
এরা একটি মার্কেটিং সিস্টেম এ বিভিন্ন ভাবে কাজ করে একজন ম্যানেজার কে রিপোর্ট দেয় এবং সেই ম্যানেজার ওই রিপোর্ট আনি এ কম্পানি মারকেটিং এর এনালাইজ করে সেটা স্ট্র্যাটেজি এবং সবকিছু বৃদ্ধি করে।
তাই আমরা কথাকথিত যেসকল ডিজিটাল মার্কেটিং গুলো শিখি সেগুলো হচ্ছে আমাদের স্কিল এবং এই স্কিল কে আমরা যতটা ভালো ভাবে শিখে একটা ব্যবসার উন্নতি ঘটাতে পারব ততটা আমরা মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি বুঝতে পারবো।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং এগুলো হচ্ছে মার্কেটিং করার জন্য একেকটা প্ল্যাটফর্ম যেগুলোকে আমরা একটা সফটওয়্যার এর সাথে তুলনা করতে পারি।
এই সফটওয়্যার গুলো আপনি কিভাবে ব্যবহার করবেন সেটা আমরা বিভিন্ন কোর্সে কৃষিকে থাকি কিন্তু এই সফটওয়্যার গুলো কোন স্ট্র্যাটেজি অবলম্বন করে কখন কোনটা ব্যবহার করলে আপনার ব্যবসার উন্নতি হবে সেটা হচ্ছে মার্কেটিং।
তাই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন আর সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট মারকেটিং ব্লা ব্লা ব্ল্যা শিখলেই যে আপনি মার্কেটার হয়ে গেলেন ব্যাপারটা এমন নয় এগুলো শুধুমাত্র একটা টুলস যে টুলসটা আপনি কিভাবে ব্যবহার করলে একটা ব্যবসার উন্নতি হবে সেটা বুঝাই আসল ব্যাপার।
আশা করি এতোটুকু আপনাদের সাহায্য করবে কেন এবং কিভাবে একজন ডিজিটাল মার্কেটিং হওয়া উচিত?
যদি পুরোটা আর্টিকেল পড়ে থাকেন তাহলে নিচে কমেন্ট করে নিজের প্রশ্নগুলো জানিয়ে দিন এবং আর্টিকেলটা কেমন লেগেছে তাও জানাতে ভুলবেন না।
যদি ডিফারেন্ট প্রশ্ন হয় তাহলে অবশ্যই আরেকটা আর্টিকেল লিখার চেষ্টা করব অন্য কোন এক সময়।
একটা পজেটিভ কমেন্ট আরেকটা আর্টিকেল তৈরি করতে উত্সাহ দেয়।