বেসিক আর এডভান্স অথবা প্রফেশনাল স্কিল এর মধ্যে পার্থক্য না বুঝে কাজ শুরু করা।
আমি যখন কাজ শুরু করেছিলাম তখন শুরু করেছিলাম এসইও দিয়ে ঠিক তার এক বছরের মাথায় আমি এসইও থেকে কনভার্ট হয়ে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট শুরু করি। প্রথম আটিকেল টা দেখার পর অনেকেই ভাবেন আমি একজন এসইও এক্সপার্ট কিন্তু আসলে আমি একজন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এক্সপার্ট।
আমার মূল এবং পাওয়ারফুল পয়েন্ট হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। ব্যবসার স্বার্থে আমি এসিও টা কেউ কন্টিনিউ করে রেখেছি এবং এখন গুগল, ফেসবুক এড রান করি।
তো আমি যখন এসইও শুরু করি তখন এসইওতে কিভাবে ওয়েবসাইট রেঙ্ক করে সার্চ ইঞ্জিনে ফাস্ট আনতে হয় তার বিভিন্ন টেকনিক শিখে ফেলি।
তো আমি এক বড় ভাইয়ের কাছ থেকে কাজ নিয়ে তার ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইট রান করানোর চেষ্টা করি কিন্তু প্রায় আট মাস পর ওয়েবসাইটটি রেঙ্ক হয়।
এই 8 মাসের মধ্যে আমি বুঝতে পারি যে, আমাকে অনেক কিছু শিখতে হবে বেসিক লেভেল ছাড়াও কারণ প্রফেশনাল কাজ করার সময় আপনার বেসিক শুধু আপনার একেকটি বিল্ডিং এর ইটের মতো।
যদি আপনি প্রফেশনাল হয়ে থাকেন তাহলেই বুঝতে পারবেন যে কিভাবে প্রতিটি 8 এবং সিমেন্ট কে একসাথে করে একটি বিল্ডিং তৈরি করা যায়।
এখন কথা হচ্ছে আমি কিভাবে বুঝেছিলাম যে কোনটা বেশি কার কোনটা অ্যাডভান্স?
আমার মধ্যে যে বেসিক ধারণা গুলো ছিল আমি ঠিক সেই বেসিক পয়েন্ট গুলো আমার খাতায় লিস্ট করি। লিস্ট করার পর আমি প্রতিটি বিষয় নিয়ে গুগলে আরো সার্চ করা শুরু করি।
Udemy.com হচ্ছে একটি পেইড কোর্স ওয়েবসাইট যেখানে আপনি অনলাইনে ট্রেনিং নিতে পারবেন ভিডিওর মাধ্যমে। এখন আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে চান তাহলে ইউডেমি গ্রাফিক্স ডিজাইন লিখে সার্চ করুন তারপর অনেকগুলো কোর্স আসবে সেই কোর্সগুলোতে ক্লিক করার পর কোর্সের সিলেবাস দেখতে পারবেন।
ব্যস আপনি অন্তত জেনে গেলেন যে আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য কি কি শিখতে হবে। আপনি কয়েকটি কোর্সের সিলেবাস কে সমন্বয় করে একটি সিলেবাস তৈরি করুন।
সিলেবাসে যেসকল নাম থাকবে সেগুলো স্পেসিফিক্যালি ইউটিউবে সার্চ দিয়ে কাজ শেখা শুরু করুন। যদি আপনি স্পেসিফিক্যালি লিখতে পারেন আপনার কোশ্চেনটা ইউটিউব এর মধ্যে তাহলেই দেখবেন অনেক ভিডিও পেয়ে গিয়েছেন।
তাছাড়া ইউটিউব এতে অনেক সাব টপিক রিলেটেড কোর্স পাওয়া যায় যেগুলো থেকেও আপনি আরও এক্সট্রা নলেজ নিতে পারবেন।
আপনি যখন কোন একটি বিষয় নিয়ে গুগলের সার্চ করবেন তখন বিভিন্ন আর্টিকেল আসবে যেখানে আপনি আরো অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন অথবা ঐ বিষয় সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়গুলো বলা থাকে।
যখন কোন আর্টিকেল থেকে আপনি নতুন কিছু দেখবেন তখন সেই বিষয়টা নিয়ে আবার রিসার্চ করা শুরু করবেন।
এখন একটি আর্টিকেল এ আপনি যা চাচ্ছেন তার বাহিরে অনেক কিছুই থাকতে পারে হয়তোবা তা আপনার কাজে এখনই লাগবে না। কিন্তু আপনি যদি আর্টিকেলটি থেকে সব ইনফরমেশন জেনে রাখেন তাহলে দেখবেন দুই থেকে তিন মাস পর সবগুলো ইনফর্মেশন আপনার একই সাথে কাজে লাগছে।
সত্যি কথা বলতে এডভান্স লেভেল অথবা প্রফেশনাল লেভেল বোঝার কোন সিলেবাস নেই। আপনার মাথায় যত বেশি ইনফর্মেশন জমা হবে এবং আপনি যত বেশি জানতে পারবেন তত বেশী নিজেকে গোছাতে পারবেন এবং প্রফেশনাল হতে থাকবেন।
আপনি যে কাজটি শিখতে চাচ্ছেন ঠিক সেই কাজের বিভিন্ন অজানা বিষয় গুলো নিয়ে প্রতিদিন দশটি করে সার্চ করুন এবং প্রতিদিন প্রতিটি বিষয়ের উপর তিনটি আর্টিকেল পড়ুন তাহলে দেখবেন আপনি একজন এক্সপার্ট এর কাছ থেকে এক ধরনের ইনফরমেশন পাবেন।
এখন জানা-বোঝার কাজ শেষ হলো কিন্তু কিভাবে নিজের প্রফেশনাল লেভেল টা টেস্ট করবেন?
আপনি যে স্কিল নিয়ে কাজ করছেন ঠিক সেই স্কুলের উপর অবশ্যই কোন না কোন টপ এক্সপার্ট আছে।
গুগোল ইউটিউব করে তাদেরকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন এবং তারপর তাদেরকে কিছুদিন ফলো করুন।
তারা সোশ্যাল মিডিয়া কিভাবে একটিভ থাকে এবং কি কাজ করে, কিভাবে কখন করে তার সবকিছুই ফলো করুন।
তারপর সে যে কাজটি সবথেকে ভালো ভাবে করেছে ঠিক সেই কাজের মত করে আপনি আরেকটি কাজ করুন এবং কিছু একটা তৈরি করুন।
আপনার এই কাজ যার দরকার তাকে ফ্রিতে গিফট করুন এবং তার কাছ থেকে একটি প্রশংসাপত্র নিন যে আপনার কাজটি কেমন হয়েছে। যদি কাজে কোন ভুল ধরিয়ে দেয় তাহলে সেটি সংশোধন করার চেষ্টা করুন।
আপনি হয়তো ভাবতে পারেন ফ্রিতে দিলে আপনার লস হবে কিন্তু এখন তো আপনি কোন কিছুই করছেন না তাতে ফ্রিতে দিয়ে নিজের যোগ্যতা টি যাচাই করে নিতে পারছেন।
আমি যখন কোন কাজ শিখি এবং নিজের স্কিল টেস্ট করার চেষ্টা করি তখন আমি আরেকজন কে ফলো করে তার যে বেস্ট কাজটি আছে সেটি ঠিক সেইরকম ভাবে তৈরি করে আমি দেখি যে আমিও সেটা করতে পেরেছি কিনা।
নকল করা ও একটা প্রতিভা !
To Be Continued………