ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে ভুল – পর্ব ২

কোন ট্রেনিং সেন্টার এ ভর্তি হলে ভালো হবে? যদি শিখিয়ে দিতো কেউ তাহলেই করতে পারতাম

আপনি যখন প্রথম হাঁটতে শিখেছেন তখন কেউ আপনার পা দুই হাতে ধরে ধরে হাটিয়ে ছিলো?

যখন হাঁটতে শিখেছেন তখন একা একাই হেঁটেছেন। প্রথমে হামাগুড়ি দিয়েছেন এবং তারপর নিজে নিজেই অন্য আর একটি বস্তুকে ধরে আস্তে আস্তে হাটার চেষ্টা করেছেন।

স্কিল ডেভেলপমেন্ট ও ঠিক এরকম, এই পর্যন্ত যারা সাকসেস হয়েছে তারা সবাই এমন।

আপনি যখন আরেকজনকে হাঁটতে দেখতেন ঠিক তখনই হাটার চেষ্টা করতেন। আরেকজনকে দেখে দেখে আপনার নিজেকেও প্রথমে হাঁটার জন্য উপযুক্ত করতে হবে।

যদি হামাগুড়ি না দিতে পারেন তাহলে ট্রেনিং সেন্টারে আপনি বুঝবেন না কিভাবে দৌড়াতে হয়। দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে একটি ট্রেনিং সেন্টার আপনার ফুল কোর্স শেষ করে দিবে যেটাকে দৌড়ানো বলে।

যে হাঁটতে জানে না সে দৌড়াবে কিভাবে? আপনি যখন একটি ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হবেন তখন তারা খুব দ্রুত আপনাকে কাজ শেখাবে আমি বলতে চাচ্ছি না যে তারা কিছুই করে না অবশ্যই তারা কিছু না কিছু শিখায় কিন্তু হয়তোবা আপনি সেই গতির সাথে তাল মেলাতে পারবেন না।

তখন আপনি একটি ট্রেনিং সেন্টার কে বলবেন ভুয়া, এরা কিছুই শিখায় না শুধু টাকা ইনকামের ধান্দা করে। এইগুলোই বলবেন আর কি করতে পারবেন বলেন!!

জ্ঞান বিক্রি করে দুনিয়ার যত বড় বড় কনসালটেন্ট আছে তারা কোটি কোটি টাকা আয় করছে তাহলে কেউ যদি কোন স্কিলে পারদর্শী হয় এবং সেই জ্ঞান যদি সে বিক্রি করে তাহলে আপনার প্রবলেমটা কোথায়?

প্রবলেম হচ্ছে আপনি সেই জ্ঞান দেওয়ার মতো যোগ্যতা রাখেন না। তাই ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা ইনকাম করার জন্য কোন ধরনের বেসিক ধারণা না রেখেই ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হওয়া আমার কাছে বোকামি ছাড়া আর কিছুই না।

আপনি যে কাজটি করতে চাচ্ছেন সেই কাজটি আসলে কি, কিভাবে করে, সেগুলোর টুলস কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তার একদম বেসিক ব্যাপারগুলো গুগল অথবা ইউটিউব থেকে আগেই জেনে নিন। তাতে করে আপনি অন্তত জানতে পারবেন যে এই বিষয়টি তে আপনি পারদর্শী হতে পারবেন কিনা। কারণ ট্রেনিং এ ভর্তি হওয়ার পর আপনার মাথার উপর দিয়ে সবকিছু যেতে পারে তখন আপনার পুরো ইনভেস্টমেন্ট লস হবে।

গুগোল এবং ইউটিউবে অবশ্যই সবকিছু বেসিক দেওয়া আছে, তাই সেখান থেকে যত ধরনের বেসিক শেখার যায় তা অন্তত দুই মাস প্র্যাকটিস করুন। তারপর আপনি দেখবেন যে আপনার অনেক কিছুই গোছালো না এবং আপনি জানেন না কোনটা কিভাবে গুছিয়ে করতে হবে।

কিন্তু আপনি জানেন কিভাবে কি কি করতে হয়। তখন আপনার একজন মেন্টর দরকার যে আপনাকে দিকনির্দেশনা দিবে যে কিভাবে আপনি নিজের অগোছালো জ্ঞানকে গোছালোভাবে উপরের দিকে নিয়ে যাবেন।

ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হওয়ার আগে আপনার মেন্টরের ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই করে নিবেন। অনেকেই আপনাকে ডলার কামিয়ে দিবে কিন্তু আপনার ফিউচার অনেক বড় হতে পারে তাই সে ওই রকম অভিজ্ঞতা আছে কিনা তা আগে বুঝে নিবেন।

ট্রেনিং সেন্টারে শুধু ভর্তি হবেন একজন মানুষের জন্য যার সাথে রিলেশন বিল্ড আপ করবেন এবং নিজের কাজের তাগিদে তার সাথে পরামর্শ নিবেন। যদি আপনি কাজ ভালভাবে প্র্যাকটিস করেন তাহলে সেই মেন্টর অবশ্যই আপনার খেয়াল রাখবে কারণ সে জানে আপনি তার একটি এসেট।

একজন মেন্টরের একেকটি ছাত্র একটি বিল্ডিং এর এক একটি ইটের মতো। ভাই যদি কাজটি শিখিয়ে দিতেন তাহলে শিখে নিতে পারতাম।

ভাই মাগনা মাগনা কোন কিছু শেখা যায় না। কিছু দেওয়ার ভেতরেই কিছু পাওয়া যায় এখন আপনি যার কাছ থেকে নিবেন তাকে কি দিবেন আপনি নিজে ভেবে দেখুন।

Prince Chowdhury

Started Freelancing Career since 2012 and Converted as an Entrepreneur, Business Coach & Marketing Strategy Enthusiast
Join Our Community:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Popular post