ক্লিক, ইম্প্রেশন অথবা রেঙ্কিং কেন কমে যায় আর প্রতিকার

ক্লিক ইম্প্রেশন কমে যাচ্ছে অর্ডার পাচ্ছি না, লেভেল পাওয়ার পর আমার রেংকিং ডাউন হয়ে গিয়েছে আমি কোন অর্ডার পাচ্ছি না।

এর একটি পূর্ণাঙ্গ সমাধান নিতে হলে আপনাকে এই আর্টিকেলটি আগে পড়ে পড়ে বুঝতে হবে এবং তারপর সমাধান পেয়ে যাবেন।

ফাইবার হচ্ছে একটি সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাঙ্কিং বেইজমেন্টে তৈরি করা মার্কেটপ্লেস তাই আপনার র‍্যাঙ্কিং সার্চ করার পর কোন কিওয়ার্ডে কিরকম পজিশনে থাকবে তার ডিপেন্ড করবে অনেকগুলো বিষয়ের উপর আর এই বিষয়গুলো আপনাকে প্রথমে বুঝতে হবে ভালো করে যে কেন এবং কি কি করলে আপনার র‍্যাঙ্কিং ডাউন হতে পারে অথবা ক্লিক ইম্প্রেশন কমতে পারে।

প্রথমত ফাইবার এর অ্যালগরিদম কী কী হিসেব নিকেশ করে আপনাকে র‍্যাঙ্কিং দিবে?

ফাইভারে যখন আপনি একদম নতুন তখন আপনার র‍্যাঙ্কিং নির্ভর করবে আপনি কিভাবে আপনার কিওয়ার্ডগুলো গুলো অপটিমাইজ করেছেন আপনার গিগের মধ্যে এবং আপনার যে কিওয়ার্ডগুলো আছে তা অন্যদের থেকে ডিফরেন্ট কিনা অথবা কিওয়ার্ডগুলো লো কম্পিটিশন কিনা।

যে কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করেছেন সেই কি ওয়ার্ড এর কম্পিটিশন যদি ৩,০০০ থেকে বেশি হয় তখন আপনার গিগ র‍্যাঙ্কিং আপস এন্ড ডাউন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

৩,০০০ কম্পিটিশনের মধ্যে যদি ডিমান্ড কম থাকে তাহলে আপনার ক্লিক এবং ইম্প্রেশন তেমন একটা বেশি থাকে না।

তার মানে হচ্ছে আপনি যে কী-ওয়ার্ডটি আপনার দিকে অপটিমাইজ করবেন তা অবশ্যই ২,০০০ কম্পিটিশনের নিচে থাকা উচিত তাহলে আপনার কি রাঙ্কিং upside-down হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে।

একটি মার্কেটে যদি অনেক বিক্রেতা থাকে তখন গ্রাহক সব সময় কনফিউজ থাকে যে তার কোন বিক্রেতার কাছ থেকে পণ্য কেনা উচিৎ। তখন মার্কেটে ঢুকার সাথে সাথে প্রথম দোকান গুলোই বেশী প্রাধান্য পেয়ে থাকে।

ফাইবারের ব্যাপারটা একটু অন্যরকম যেহেতু এটা রেংকিং অ্যালগরিদম জায়গায় চলে তাই ফাইবার যেকোনো সময় যে কাউকে ব্যাংকিং এর সামনের দিকে নিয়ে আসে অথবা পিছনের দিকে নিয়ে যায়।

প্রথমেই বলেছি আপনার গিগ অবশ্যই লো কম্পিটিশনে থাকতে হবে কারণ হাই কম্পিটিশনে আপনাকে খুঁজে পাওয়াটা অনেক কষ্টসাধ্য হবে।

এখন কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে ফাইবার র‍্যাঙ্কিং করে?

ফাইবারে যেহেতু কম্পিটিশন দ্বারা র‍্যাঙ্কিং নির্ধারণ করে ক্লায়েন্টের কাছে আপনার বিজ্ঞাপন পৌঁছে দেওয়া হয় তাই এর কয়েকটি বিষয় রয়েছে যে সকল বিষয়ে যত বেশি হাই থাকবে আপনার তত বেশি কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

প্রথমত: অর্ডার পাওয়ার পর যদি সেই অর্ডার কোন কারণে ক্যান্সেল হয়ে যায় তখন আপনার অর্ডার ক্যান্সলেশন রেশিও কমে যায়।

দ্বিতীয়তঃ যখন আপনি কোন ডেলিভারি লেইট দেন তখন আপনার অর্ডার ডেলিভারি রেট কমতে থাকে।

তৃতীয়তঃ আপনার যখন কোন ক্লায়েন্ট প্রাইভেট ফিডব্যাক ভালো না দেয় তখন আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা আরও বেশি কমে যায়।

চতুর্থত: যখন অনেকদিন ধরে আপনার অর্ডার থাকে না তখন ফাইবারের কাছে আপনার গিগের ভ্যালু কম বলে মনে হয়।

পঞ্চম: যদি ক্লায়েন্ট আপনার গিগে অর্ডার রিভিউ না করে।

এই প্রতিটি সমস্যা সমষ্টিগত ভাবে যদি কোন টা কমে যায় তখন অন্য সেলার যদি ওই সময়টাতে এই ব্যপারগুলো ঠিক রাখে অথবা তার রেশিও বেড়ে যায় তখন আপনার গিগ’এর রেংকিং ডাউন হতে থাকে।

কারণ ফাইবার মার্কেটপ্লেস তখন এটাই দেখে যে আপনার থেকে ভালো এনালাইটিক্স এবং ভ্যালু কার বেশি আর যার বেশি তখন অ্যালগরিদম তাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে উপরে নিয়ে আসে।

অর্ডার ক্যান্সলেশন রিসিভ এবং আপনি যদি লেইট ডেলিভারি দেন তাহলে অবশ্যই ফাইবার আপনার রেংকিং কমিয়ে দিবে এটা নিশ্চিত থাকেন।

আর যদি র‍্যাঙ্কিং কমে তাহলে আপনার অর্ডার পাবার সম্ভাবনা কমে যাবে কারণ তখন ফাইবার আপনার গিগের ভ্যালু অনুযায়ী ক্লায়েন্টের সামনে আপনার গিগ প্রদর্শন করবে না তখন আপনার ইম্প্রেশন হবে না এবং ক্লিক ও পরবেনা।

যদি অর্ডার ক্যানসেল রেশিও কমে যায় অথবা অর্ডার লেইট ডেলিভারি হয় তাহলে আপনাকে দুই মাস ওয়েট করতে হবে আগের জায়গায় ফিরে পাবার জন্য এবং তারপর আরো এক থেকে দুই মাস লাগবে আপনার গিগ রেঙ্ক আস্তে আস্তে বাড়তে।

এই সময় টাতে যেটা করতে পারেন সেটা হচ্ছে আপনার গিগ নিয়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ করেন এবং সেই কিওয়ার্ডগুলো গিগের মধ্যে এডিট করে গিগ অপটিমাইজ করেন।

দ্রুত র‍্যাঙ্কিং কমে যাওয়ার একটা বিশাল কারণ হচ্ছে হাই কম্পিটিশন কি ওয়ার্ড সিলেক্ট করা। আমি প্রথমেই বলেছিলাম আপনাকে এমন কিওয়ার্ড সিলেক্ট করতে হবে যে কি-ওয়ার্ড এর কম্পিটিশন একদম লো। কারণ লো কম্পিটিশনে আপনার টিকে থাকাটা সহজ হয়ে দাঁড়াবে এবং র‍্যাঙ্কিং হারানোর সম্ভাবনা খুব কম থাকবে।

তাই অর্ডার ক্যানসেল অথবা ডেলিভারি হলে হতাশ হয়ে বসে না থেকে কিওয়ার্ড রিসার্চ করুন এবং সেই কিওয়ার্ড রিসার্চ করে আপনার গিগ অপটিমাইজ করুন বারবার তখন দেখবেন কোন না কোন কিওয়ার্ড দিয়ে আপনার গিগ ফার্স্ট পেজ রেংকিং থাকবে এবং আপনি অর্ডার পেয়ে যেতে পারেন।

গত 15 তারিখে একটি ওয়ার্কশপ করেছিলাম এই টোটাল বিষয়টা নিয়ে যে কিভাবে কিবোর্ড রিচার্জ করলে আপনি সহজেই কম্পিটিশন কিওয়ার্ড পাবেন এবং সহজেই ইম্প্রেশন ক্লিক এবং রেংকিং বাড়াতে পারবেন।

যেহেতু এটা পাবলিক গ্রুপ তাই এখানে লিংক শেয়ার করা পসিবল নয় তাই আপনারা আমার প্রোফাইলে কভার ফটোতে যদি কমেন্ট করেন তাহলে লিংক পেয়ে যাবেন আশা করি এই ওয়ার্কশপের সবকিছু আপনাদের একদম সহজ করে তুলবে।

কিভাবে লো কম্পিটিশন কিওয়ার্ড পেতে হয় আশা করি এরপর আর কোন প্রবলেম থাকে না যদি ওয়ার্কশপ টি ভালোভাবে দেখে বুঝতে পারেন।

প্রথম ধাপ হচ্ছে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে সঠিক কীওয়ার্ড নির্বাচন করা যে কিওয়ার্ড আপনার ফাইবারের লাইফ চেঞ্জ করে দিবে যে কীবোর্ড দ্বারা আপনি নিজে প্রতিনিয়ত কাজ পাবেন কোন প্রকারের হাই কম্পিটিশন মোকাবেলা ছাড়া।

অনেকের প্রশ্ন থাকে লেভেল পাওয়ার পর আমার রেঙ্ক কমে গিয়েছে আসলে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ রূপে ভুল।

ফাইবার প্রতিমাসে এভলিউশন করে মাসের 15 তারিখে এবং আপনার রাঙ্কিং অথবা লেভেল দুটোই ইভালিউট হয় 15 তারিখের দিকে।

আসলে রেংকিং এর সাথে লেভেল ইভোলিউশন এর কোন মিল নেই, র‍্যাঙ্কিং অ্যালগরিদম চেঞ্জ করার সাথে সাথে যদি আপনার গিগের অবস্থা অ্যালগোরিদমের সাথে মিলে যায় তাহলে গিগ র‍্যাঙ্কিং হবে আর যদি আপনার গিগের বর্তমান অবস্থা অ্যালগরিদম এর সাথে না মিলে তাহলে গিগ ডাউন হবে।

এখন 15 তারিখে অ্যালগরিদম চেঞ্জ হয় এবং সাথে সাথে লেভেলটা ও চেঞ্জ করে দেয় তখন আপনার কাছে মনে হয় যে লেভেল আপস এন্ড ডাউন এর কারনে আপনার রেংকিং কমেছে।

লক্ষ্য করে দেখবেন যে কি-ওয়ার্ড দিয়ে আপনি কি গ্র্যান্ড পেয়েছেন সেই কিবোর্ড এর বাকি সেলারদের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে ঠিক মাসের 15 তারিখের পর তাই এই বিষয়টা নিয়ে না ঘাটিয়ে এমন ভাবে লো কম্পিটিশন কিওয়ার্ড বের করুন যেটা দিয়ে গিগ অপটিমাইজ করলে আপনার গিগ বেশি বেশি রেঙ্ক হবে।

গিগ র‍্যাঙ্কিং নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ আর্টিকেল লেখার ট্রাই করবো যেটা দিয়ে আপনারা নিজেদের এই প্রবলেমগুলো সর্ট আউট করতে পারবেন।

আপাতত ওয়ার্কশপটি দেখে নিন তাহলে আশা করি আপনাদের অনেক অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

Prince Chowdhury

Started Freelancing Career since 2012 and Converted as an Entrepreneur, Business Coach & Marketing Strategy Enthusiast
Join Our Community:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Popular post